এবিএনএ : এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর সারাদেশে এসএসসি ও সমমানে পাসের হার ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯৮৯ জন। রোববার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফল প্রকাশ করেন। এর আগে তার কাছে এসএসসি ও সমানের ফল হস্তান্তর করা হয়। পরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তন থেকে ফেইসবুক লাইভে ফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
এ বছর ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৬ হাজার ৪৭ জন, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৮ জন, রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৯০ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬ হাজার ১৬৭ জন, যশোর শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ হাজার ৭৬৪ জন, সিলেট শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ২৬৩ জন, বরিশাল শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৪৮৩ জন, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮৫ দশমিক ২২ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ২৪৫ জন, ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮০ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ৪৩৪ জন, দিনাজপুরে শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার ৮৬ জন।
এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে ১০ লাখ ২২ হাজার ৩৩৬ জন ছাত্র ও ১০ লাখ ২৩ হাজার ৪১৬ জন ছাত্রী। এবার ২৮ হাজার ৮৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ৩ হাজার ৫১২টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেয়।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, ছাত্রদের পাসের হার ৮১ দশমিক ৬৩ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ১০।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে এসএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হয় ২৭ ফেব্রুয়ারি। আর ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত নেওয়া হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। সেই হিসেবে মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই ফল প্রকাশের কথা থাকলেও করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে তা সম্ভব হয়নি। তারপরও বিশেষ ব্যবস্থায় ডাকযোগে ওএমআর শিট এনে মে মাসেই ফল প্রকাশ করছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে শিক্ষার্থীদের এবার স্কুলে গিয়ে ফল জানার সুযোগ নেই। মুঠোফোনের মাধ্যমে প্রাক নিবন্ধন করেছে সারাদেশের ১৩ লাখ ২৩ হাজার ৭২৬ জন শিক্ষার্থী। তারা বেলা ১২টার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে শিক্ষাবোর্ডের সার্ভার থেকে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে। আর বাকি পরীক্ষার্থীরা তাৎক্ষনিক নিজেদের মুঠোফোন থেকে এসএমএস এবং নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে গিয়ে ফল জানতে পারবেন।
Share this content: